স্বাগতকথন

জামালপুর জিলা স্কুল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের অফিসিয়াল পেইজে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের প্রাণের এ বিদ্যাপীঠ শুধুমাত্র প্রথাগত বিদ্যাপীঠ নয়,  এটি জয়ধ্বনির একটি নাম। প্রায় দেড় শতাব্দীর প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠের রয়েছে বিপুল গৌরবময় অধ্যায়। যুগ যুগান্তেও সোনার মানুষ গড়ে জামালপুর তথা এই প্রিয় স্বদেশকে করেছে সমৃদ্ধ। স্মৃতিময় প্রাণের স্কুলের সোনালী অতীতের স্মৃতিকথা, বর্তমান-ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের সাথে মেলবন্ধনের অগ্রযাত্রায় একজন সারথী হিসেবে আপনার নিবিড় অংশগ্রহন এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের লক্ষ্য স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন গড়ে তোলা। স্কুলের ঐতিহ্য- সাফল্য বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। এছাড়াও এসোসিয়েশনের মাধ্যমে ছাত্র কল্যাণ, পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা রাখা।

আমাদের সম্পর্কে

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য হল প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সমতিপ্র জাগানো, স্কুলের কল্যাণ প্রচার করা এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলিকে সমর্থন করা। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিভঙ্গি হল নিযুক্ত এবং সহায়ক প্রাক্তন ছাত্রদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা যারা স্কুলের সাফল্য এবং অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  বিশেষত, একটি স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: সামাজিক ইভেন্ট, নেটওয়ার্কিং সুযোগ এবং অন্যান্য কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রাক্তন ছাত্রদের একে অপরের সাথে এবং স্কুলের সাথে সংযুক্ত করা। বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও অনুপ্রাণিত করতে প্রাক্তন ছাত্রদের কৃতিত্ব এবং সাফল্য প্রচার করা। প্রাক্তন ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবী, পরামর্শদান এবং আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে স্কুলে ফিরিয়ে দিতে উত্সাহিত করা। বর্তমান এবং ভবিষ্যত শিক্ষার্থীদের উচ্চ-মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থান রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যালয়ের তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে স্কুলের পক্ষে ওকালতি করা, এর খ্যাতি এবং এর শিক্ষার মূল্য প্রচার করা।

স্কুলের ইতিহাস

জামালপুর মহকুমা প্রতিষ্ঠার পর মি. টি. এ ডনো ১৮৬৮ সালে এই মহকুমার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হন। মি. টি. এ ডনো যখন জামালপুরে আসেন তখন জামালপুরের নৈতিক ও সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। এখানকার সামাজিক পরিবেশ তাঁকে ভীষণভাবে ব্যথিত করে। কবি চিত্রকর ডনোর মনে কেবল একই ভাবনা, কেমন করে এই কলুষ পরিবেশকে সুন্দর বাসোপযোগী করা যায়। তিনি লক্ষ্য করলেন শিক্ষার অনগ্রসরতাই এর মূল কারণ। কারো প্রতি নির্ভর না করে একাই ঝাঁপিয়ে পড়লেন একটি প্রাথমিক পাঠশালা স্থাপনের কাজে। প্রাথমিক অবস্থায় তার বাসভবনের একটি কক্ষে স্থানীয় ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে এর প্রথম শুভযাত্রা করেন। জনশ্রুতিতে জানান যায়, প্রথম দিকে তাঁর পাঠশালায় ছাত্ররা পড়ার জন্য উপস্থিত হতো না। এদের আকৃষ্ট করার জন্য মি. ডনো প্রতিদিন ঢাকী ভরে বাতাসা নিয়ে বসতেন। এই বাতাসার লোভে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

অবকাঠামো

জামালপুর শহরে অবস্থিত এ বিদ্যালয়টি সর্বমোট ১২.০৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে তিনটি তিনতলা একাডেমিক ভবন, একটি দোতলা ভবন, দুটি একতলা ভবন, ১টি ছাত্রাবাস, মসজিদ সহ ১৩ টি স্থাপনা রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী

গ্যালারি

Scroll to Top